গত ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে ফ্রান্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ফ্রান্স আওয়ামিলিগের দুই গ্রূপের সংঘর্ষের কারণে পন্ড হয়ে যায়। তার পর থেকেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনার ঝড় বইছিল তা নিয়ে।
সবশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর নূর শিকদার এই বিষয়ে মর্মাহত হয়ে বৃহস্পতিবার প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান বাংলাদেশকে অপমানের শামিল উল্লেখ করে তিনি বলেন বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের বরাদ্ধকৃত বসার আসন জোরদখল করা হয়েছিল, এ নিয়ে রাষ্ট্রদূতের ভূমিকা ছিলো হতাশাজনক। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অশালিন ভাষায় কটুক্তি করলেও দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূত কোন ব্যবস্থা নেননি। ১৭ই মার্চের অনাকাংখিত ঘটনার জের ধরেই ২৩ মার্চ সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এম এ গনি এক বিবৃতিতে ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সকল কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে জানান।
প্রবাসে দূতাবাসে আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি বিনষ্ঠকারীদের কোন জায়গা হবে না ফ্রান্স আওয়ামী লীগে। সংগঠনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ও তাদের মদদ দাতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশ মোতাবেক শীগ্রই তিনি ফ্রান্সে এসে সুষ্ট তদন্ত করে ফ্রান্স আওয়ামিলীগের বিষয়ে সঠিক রিপোর্ট প্রদান করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।